বিজেপির রাজ‍্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের রোড শো ঘিরে রণক্ষেত্র শহর , তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুর

14th April 2021 12:16 am বর্ধমান
বিজেপির রাজ‍্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের রোড শো ঘিরে রণক্ষেত্র শহর , তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুর


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :  শান্তিপূর্ণ ভাবে মঙ্গলবায় পূর্ব বর্ধমানের একাধীক জায়গায় সম্পূর্ণ হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার রোড শো।  কিন্তু এদিন শান্তিপূর্ণ ভাবে মিটলো না রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বর্ধমানের রোড শো। দিলীপ ঘোষের রোড শো  য়ের সময়ে এদিন সন্ধায় শাসক ও  বিরোধীদের সংঘাত ঘিরে  রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শহর বর্ধমানের রশিকপুর এলাকা । পুলিশ 
কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দিলেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে উত্তেজনা চরমে ওঠে । অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় রশিকপুর এলাকা জুড়ে । উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ ,র‍্যফ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী । ঘটনার জন্য তৃণমূল ও বিজেপি উভয় পক্ষই একে অপরকে দায়ী করেছে । 

বর্ধমান দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী সন্দীপ নন্দীর সমর্থনে এদিন রোড শো হয় বর্ধমানে।  বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ওই  রোড শোয়ে অংশ নেন । রোড শো ছিল বর্ধমানের  পাওয়ার হাউস পাড়া থেকে পার্কাস মোড় পর্যন্ত। এদিন সন্ধ্যা  নাগাদ রোড শো রসিকপুর মোড়ের কাছে পৌছায় । জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল রায় অভিযোগে বলেন,রশিকপুরে তৃণমূলের লোকজন দিলীপ ঘোষকে কালো পতাকা দেখায়। পরে তারা  রোড শোয়ে  ইটবৃষ্টি শুরু করে ।শ্যামলবাবু আরও জানান , ঘটনাস্থলের কাছেই রয়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিস । সেই খান থেকে ইট বৃষ্টি চালাণো হয় ।তৃণমূল নেতা  আব্দুল রবের নেথৃত্বে বিজেপির বোড শোয়ে হামলা চলে ।  কয়েকজন আহত হন । শ্যামল বাবু দাবি করেন ইটের আঘাতে তিনিও আহত হন । তা দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে যায় রোড শোয়ে অংশ নেওয়া বিজেপি কর্মীরা । তারা পাল্টা প্রতিরোধ শুরু করলে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয় । নিজেদের দোষ ঢাকতে পরে  তৃণমূলের  কর্মীরা শহর বর্ধমান অশান্ত করতে আশরে নেমে বলে শামল রায় জানিয়েছেন । 

  
যদিও পাল্টা অভিযোগে আব্দুল রব বলেন,দিলীপ ঘোষ মানেই হিংশা আর অশান্তি । এদিন দিলীপ ঘোষ বর্ধমানে আসতেই তার ইন্ধনে বিজেপি কর্মীরা অশান্তি সৃষ্টি খেলায় নমে । আব্দুল রব দাবি করেন ,দিলীপ ঘোষের রোড শোয়ে ইট ছোঁড়া হয়েছে এমন মিথ্যা অভিযোগ এনে বিজেপি করমীরা তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলা ভাঙচুর চালায় । তৃণমূল প্রার্থী খোকন দাসের সমর্থনে লাগানে প্রচার ফ্লেক্স ফেন্টুন সব ছিঁড়ে ফেলে দেয় বিজেপি কর্মীরা । এর প্রতিবাদ করে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা । তখনই বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের  কর্মীদের উপরে হামলা চালানো শরু করে । তারই প্রতিবাদে তৃণমূল কর্মীরা পথে নেমেছে ।   এলাকাবাসী জানিয়েছেন ,ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল কর্মীরা রসিকপুরে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ।তৃণমূলের বিক্ষোভের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রসিকপুর মোড়।রাত বাড়ার সাথে এলাকা জনশূন্য হয়ে যায় । গোটা এলাকার দখল নিয়ে  নেয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী ।  জেলা তৃণমূলের সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন , ভোটের আগে পরিকল্পনা করে  বর্ধমান অশান্ত করার খেলায় নেমেছে দিলীপ ঘোষের বাহিনী । 
    
 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।